Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

বিজেপি নেতা শুভেন্দু বললেন

৪-৫টা ড্রোন পাঠিয়ে দিলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৩২

৪-৫টা ড্রোন পাঠিয়ে দিলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে

শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশকে আবারও তাচ্ছিল্য করেছেন বিজেপি নেতা ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কটাক্ষ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকেও।

তিনি বলেছেন, ওরা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় মেতেছে। ওদের যুদ্ধ থামাতে ভারতের ট্যাংক বা বন্দুকের দরকার নেই। কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম (সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর) থেকে ৪-৫টা ড্রোন পাঠালে সব খেলা শেষ হয়ে যাবে।

আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শুভেন্দু এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ভারত অত্যন্ত দায়িত্বশীল দেশ। দুর্বল দেশকে কখনো আক্রমণ করে না। কিন্তু কী করা যাবে, পিপীলিকার ডানা গজায় মরিবার তরে। বাংলাদেশের এই নাবালক অর্বাচীনগুলো ভারতের সামরিক শক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। ওরা জানে না, আমাদের বিএসএফ বা সেনা পাঠানোর দরকার হবে না। ওরা জানে না, ভারত এখন ড্রোনে কত উন্নত। যদি ভারতের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে, তাহলে গোটা পাঁচেক ড্রোন পাঠিয়ে দিলেই ওদের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উপহাস করে শুভেন্দু বলেছেন, ইউনূসের অবস্থা ওসামা বিন লাদেনের থেকেও খারাপ হবে।

মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ২০২০ সালে বিজেপিতে ভেড়া শুভেন্দু বলেন, ওরা আমাদের বালুরঘাট সীমান্তের সামনে কয়েকটা ট্যাংক নিয়ে এসে খড়ের গাদা দিয়ে ঢেকে রেখেছে। ওরা জানে না যুদ্ধ করতে এখন ট্যাংক লাগে না। আমাদের ট্যাংক লাগে না। ওরা এখনো ৬০-৭০ সালে পড়ে আছে। এখন ট্যাংকে দিয়ে যুদ্ধ হয় না। বন্দুক দিয়ে যুদ্ধ হয় না। যুদ্ধ করতে এখন আর ম্যান পাওয়ার লাগে না। ভারত কয়েকটা ড্রোন শুধু পাঠাবে, তাহলেই ওরা গল্প হয়ে যাবে। অশিক্ষিত মূর্খ রাজাকারের বাচ্চাগুলো ভারতের শক্তি সম্বন্ধে জানে না। এখানে ফোর্ট উইলিয়াম থেকে বোতাম টিপলেই টপাটপ ড্রোন বের হবে। ওদের দফারফা শেষ হয় যাবে।

এরপরই পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খুবই খারাপ। এখানে রাষ্ট্রবাদী একটা সরকার দরকার। যে সরকার রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি এবং মৌলবাদী জঙ্গিবাদকে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে খতম করবে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে বাঁচার কোনো রাস্তা নেই। পশ্চিমবঙ্গ এখন জঙ্গিদের বাসভূমি হয়ে গেছে।

বিজেপির এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা খুন করেছিল, ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত, তারা পশ্চিমবঙ্গে ১৫ বছর ধরে বসবাস করছিল। একজন হাওড়াতে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার সেজেছিল, ওখানেই মারা গেছে। আরেকজন মাস্টার মাজেদ পাক সারকাসে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে লুকিয়ে ছিল। তাকে ২০২২ সালে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর হয়েছিল।

Logo

অনুসরণ করুন