Logo
Logo
×

প্রযুক্তি

অ্যাপোস্টিল: সহজ হলো সার্টিফিকেট প্রমাণের পথ

Icon

আইটি ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ১২:৩৪

অ্যাপোস্টিল: সহজ হলো সার্টিফিকেট প্রমাণের পথ

বিদেশে উচ্চশিক্ষা, চাকরি বা অভিবাসনের জন্য অনেক সময় জন্মনিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নানা কাগজপত্রের আন্তর্জাতিক প্রমাণিকরণ প্রয়োজন হয়। আগে এ ধরনের দলিল বৈধ করতে নোটারি পাবলিক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসে ঘুরতে হতো। এই প্রক্রিয়া ছিল সময়সাপেক্ষ, ব্যয়সাপেক্ষ এবং প্রায়ই দালালদের মাধ্যমে ঝামেলার শিকার হতে হতো।

২০২৫ সালে বাংলাদেশ ‘হেগ কনভেনশন ১৯৬১’-এর সদস্য হওয়ার পর সম্প্রতি চালু হয়েছে অ্যাপোস্টিল সার্ভিস। এখন apostille.mygov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ঘরে বসেই দলিলের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করা যায়। যেহেতু এটি নতুন চালু হয়েছে, তাই এখনও অনেক নাগরিক এ সুবিধা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না। তবে ধীরে ধীরে সচেতনতা বাড়ছে।

অ্যাপোস্টিল সার্টিফিকেট কী
অ্যাপোস্টিল একটি ডিজিটাল সার্টিফিকেট, যা দলিলের বৈধতা নিশ্চিত করে। এই সার্টিফিকেটে থাকে একটি ইউনিক কিউআর কোড। বিদেশি কর্তৃপক্ষ সরাসরি এই কোড স্ক্যান করে দলিলের সত্যতা যাচাই করতে পারে। ফলে ভুয়া কাগজপত্রের ঝুঁকি অনেক কমে গেছে এবং দূতাবাসে দৌড়ঝাঁপের দরকার নেই।

সাধারণত তিন থেকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। জন্ম নিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত সনদ (সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট), জাতীয় পরিচয়পত্র, বিবাহ বা তালাক সনদ, মৃত ব্যক্তির সনদ ও অন্যান্য সরকারি দপ্তরের বৈধ দলিল।


অ্যাপোস্টিল সার্ভিসের মাধ্যমে ঘরে বসেই আবেদন করা যায়। দালালের প্রয়োজন হয় না। বিদেশি কর্তৃপক্ষ সহজে যাচাই করতে পারে। সময় ও খরচ কমে যায়। প্রক্রিয়াটি নিরাপদ ও স্বচ্ছ। আগে যেখানে মাসের পর মাস সময় লাগত, এখন মাত্র কয়েক দিনে প্রয়োজনীয় দলিল আন্তর্জাতিকভাবে বৈধ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেহেতু এই সেবা সম্প্রতি চালু হয়েছে, তাই নতুন আবেদনকারীদের উচিত apostille.mygov.bd ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ে নিয়ে আবেদন করা। এভাবে প্রক্রিয়াটি আরও দ্রুত ও নির্ভুল হবে।

Logo

অনুসরণ করুন