
শামীম ও রোজিনা দম্পতি কানাডায় থাকেন। সেখানে তাদের মেয়ে মেহেরের জন্ম হয়। কানাডায় থাকা অবস্থাতেই মেয়ের জন্মসনদ করেন। এক বছর পর দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। তারা তাদের ছেলে আলিফের পাসপোর্ট নবায়ন এবং সদ্য জন্ম নেওয়া মেয়ে মেহেরের নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু একদিন তারা লক্ষ্য করলেন, আলিফের পুরোনো পাসপোর্ট ও জন্মসনদ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও খুঁজে না পেয়ে শামীম দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন, আলিফের নতুন পাসপোর্ট করতে হবে এবং এর জন্য জন্মনিবন্ধন সনদ লাগবে।
শামীমের মনে পড়ল, আগে তিনি তার নিজের জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে করেছিলেন। আলিফের ক্ষেত্রেও তিনি সেটা করতে পারবেন।
শামীম bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে আলিফের জন্ম সনদ পুনরুদ্ধার করার জন্য ফরম পূরণ শুরু করলেন। তবে, যেহেতু তাদের কাছে আলিফের হারানো সনদের নম্বর ছিল না, শামীমকে জন্ম সনদ পুনরুদ্ধার করতে অভিভাবকের তথ্য এবং আলিফের জন্মের অন্যান্য তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে। শামীম সঠিকভাবে আলিফের জন্মতারিখ, পিতামাতার নাম, এবং জন্মস্থান পূর্ণ করে “Search” বাটনে ক্লিক করলেন।
কিন্তু, সনদ নম্বর ছাড়া সঠিক তথ্য দিয়েও কোনো ডেটা মেলেনি। শামীম কিছুটা হতাশ হয়ে গেলেন। তিনি দেশে থাকা তার ভাইকে তাদের ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে গিয়ে খোঁজ নিতে বললেন। শামীমের ভাই খোঁজ নিয়ে পুলিশ রিপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। কিছু দিনের মধ্যে, শামীম ও রোজিনা তাদের আলিফের নতুন জন্ম সনদ সংগ্রহ করতে সক্ষম হলেন।
যদি আলিফের জন্ম সনদ নম্বর সেভ করা থাকত, তবে শামীম এবং রোজিনা সরাসরি bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে সনদ নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারতেন। এতে প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হতো এবং তারা পাসপোর্ট রিনিউয়ের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস-এ সরাসরি সনদ জমা দিয়ে সহজেই পাসপোর্ট পেতে পারতেন।
এর বাইরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ১০০-রও বেশি সরকারি সেবা নিয়ে চালু হচ্ছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন আউটলেট। চলমান ডিজিটাল সেন্টারগুলোকেও এতে যুক্ত করা হবে। সেখানেও পাওয়া যাবে উল্লিখিত সেবাটি।