
প্রথম সন্তান আলিফের জন্মের বছর খানেক পর শামীম ও রোজিনা দম্পতি কানাডায় নতুন জীবন শুরু করেছিলেন। দুই বছর পর সেখানে তাদের মেয়ে মেহেরের জন্ম হয়। তারা চাচ্ছেন, মেয়ের বাংলাদেশি পাসপোর্ট করতে। শামীম তার এক সহকর্মীর মাধ্যমে জানতে পারেন, এর জন্য জন্মনিবন্ধন প্রয়োজন।
একপর্যায়ে শামীমের মনে পড়ল তিনি তার প্রথম সন্তান আলিফের জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়ে নিজের জন্ম নিবন্ধন অনলাইনেই করেছিলেন।
শামীম ও রোজিনা bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘জন্ম নিবন্ধন আবেদন’ অপশনে ক্লিক করলেন। ফরমে মেহেরের নাম, জন্ম তারিখ, জন্মস্থান, পিতা-মাতার নাম ও বাংলাদেশের স্থায়ী ঠিকানা পূরণ করলেন। এরপর হাসপাতালের জন্ম সনদ এবং পাসপোর্ট স্ক্যান আপলোড করলেন। এ ক্ষেত্রে শামীমের যে কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়:
মেহেরের জন্ম সনদ (হাসপাতাল থেকে পাওয়া)
পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (পাসপোর্ট/এনআইডি)
পিতামাতার পাসপোর্ট/এনআইডি স্ক্যান কপি
বাংলাদেশে স্থায়ী ঠিকানার তথ্য (যদি থাকে)
মেহেরের পাসপোর্টের স্ক্যান কপি (যদি থাকে)
ফরম পূরণের জন্য তথ্য: যেমন সন্তানের নাম, জন্ম তারিখ, জন্মস্থান, পিতা-মাতার নাম, বাংলাদেশের স্থায়ী ঠিকানা
শামীম জানতেন, ফি পরিশোধ না করলে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে না, তাই তিনি ব্যাংক পেমেন্ট করে ফরম জমা দিলেন। পরে তিনি আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে বাংলাদেশে থাকা তার ভাইকে পাঠিয়ে দিলেন। শামীমের ভাই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে কাগজটি জমা দেন। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বাংলাদেশে তাদের পরিবারের মাধ্যমে মেয়ের জন্মসনদটি তারা পেয়ে গেলেন।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ১০০-রও বেশি সরকারি সেবা নিয়ে চালু হচ্ছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন আউটলেট। চলমান ডিজিটাল সেন্টারগুলোকেও এতে যুক্ত করা হবে। সেখানেও পাওয়া যাবে উল্লিখিত সেবাটি।
নাগরিকদের সরকারি সেবা দিতে নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গার নাগরিক সেবা কেন্দ্রগুলোতে ব্র্যান্ডিং, ইউনিফর্ম, সনদপত্র, কম্পিউটার ও ফার্নিচারের জন্য বিশেষ সহায়তা এবং সহজ শর্তে অর্থায়ন সুবিধার কথা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ ও মানসম্মত ইন্টারনেট সংযোগের সুবিধাও নিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।