Logo
Logo
×

প্রযুক্তি

নাগরিকের প্রথম পরিচয়: জন্মসনদ যেভাবে করবেন

Icon

আইটি ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৫, ০১:২২

নাগরিকের প্রথম পরিচয়: জন্মসনদ যেভাবে করবেন

শামীম ও রোজিনা দম্পতির সদ্য জন্ম নেওয়া তাদের প্রথম সন্তান আলিফের জন্ম নিবন্ধন করতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে গিয়েছিলেন। আলিফের বয়স তখন মাত্র ১০ দিন। তাঁরা জানতেন—সরকার ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করতে উৎসাহিত করে। ডিজিটাল সেন্টারের অপারেটর শরীফ তাদের জানালেন, আলিফের জন্ম নিবন্ধনের জন্য কোনো ফি লাগবে না। কারণ:

  • জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধনে ফি লাগে না

  • ১ মাসের মধ্যে ফি ৫০ টাকা

  • ১-৩ মাসের মধ্যে ফি ১০০ টাকা

  • ৩ মাসের বেশি হলে ফি ২০০

আলিফের জন্ম নিবন্ধনের জন্য লাগবে:

  • পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি

  • হাসপাতালের ছাড়পত্র বা টিকা কার্ড বা জন্মের স্থান ও সময় উল্লেখ রয়েছে এমন কাগজ

  • পাসপোর্ট সাইজ ছবি 

শামীম ও রোজিনা কাগজগুলো—জমা দিলেন। অপারেটর শরীফ আলিফের জন্ম নিবন্ধনের ফর্মটি অনলাইনে পূরণ করে সাবমিট করলেন। শরীফ বললেন, ‘এটি সফলভাবে জমা হয়ে গেছে। সনদটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যাচাই হতে কিছুটা সময় নেবে। তিন থেকে সাত দিন পর সনদপত্রটি রেডি হয়ে যাবে।’ 

তবে শামীম ও রোজিনা চাইলে, ইউনিয়ন পরিষদে না গিয়ে এ কাজ অনলাইনে সম্পন্ন করতে পারতেন। তারা bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি আবেদন জমা দিতে পারতেন। তারা ‘জন্ম নিবন্ধন আবেদন’ অপশনে ক্লিক করে সহজেই ফর্ম পূরণ করতে পারতেন। ওয়েবসাইটে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য, যেমন—সন্তানের নাম, জন্ম তারিখ, জন্মস্থান, পিতা-মাতার নাম, ঠিকানাসহ অন্যান্য তথ্য পূরণ করতে হতো।

জন্ম সনদে থাকা বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, হাসপাতালের ছাড়পত্র বা টিকা কার্ড বা জন্মের স্থান ও সময় উল্লেখকারী কাগজ স্মার্টফোনে ‍স্ক্যান করে আপলোড করতে পারতেন।

ফরম পূরণ ও ডকুমেন্ট আপলোড করার পর, ফি পরিশোধ করতে হতো। পরিশোধ শেষে অটোমেটিক চালান নম্বর পাওয়া যেত এবং সনদ পেতে এক থেকে তিন দিন সময় লাগতো।


তবে, চূড়ান্ত সনদপত্র ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েই আনতে হতো। অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার পর, শামীম ও রোজিনা তাদের আবেদনের ট্র্যাকিং নম্বর এবং সনদের প্রস্তুতির স্ট্যাটাস দেখে সনদ প্রস্তুত হয়েছে কিনা নিশ্চিত হতে পারতেন। তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে যখন সনদপত্রটি প্রস্তুত হয়ে যেত, তখন তারা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সনদটি সংগ্রহ করতে পারতেন।

এর বাইরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ১০০-রও বেশি সরকারি সেবা নিয়ে চালু হচ্ছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন আউটলেট। চলমান ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকেও এতে যুক্ত করা হবে। সেখানেও পাওয়া যাবে উল্লিখিত সেবাটি। 

নাগরিকদের সরকারি সেবা দিতে নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গার নাগরিক সেবা কেন্দ্রগুলোতে ব্র্যান্ডিং, ইউনিফর্ম, সনদপত্র, কম্পিউটার ও ফার্নিচারের জন্য বিশেষ সহায়তা এবং সহজ শর্তে অর্থায়ন সুবিধার কথা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ ও মানসম্মত ইন্টারনেট সংযোগের সুবিধাও নিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Logo

অনুসরণ করুন