রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর অনিশ্চিত পথে দেশ
সাবির মুস্তাফা
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:৪১
ঢাকার দেয়ালে আঁকা শহীদ আবু সাঈদের প্রতিকৃতি। পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দুজন স্কুলছাত্র। ছবি : রয়টার্স
বাংলাদেশ ২০২৪ সালের যাত্রা শুরু করে একটি বিতর্কিত নির্বাচন দিয়ে, যখন ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের খুব একটা উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় নি। বছরটি শেষ হচ্ছে ক্ষমতায় একটি নতুন সরকার দিয়ে, যার নেতৃতে আছেন শান্তিতে নোবেল পুরষ্কারপ্রাপ্ত একজন অর্থনীতিবিদ।
কিন্তু অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তার মেঘ এখনো রাজনীতির আকাশে ঘনীভুত হয়ে আছে।
বছরের মাঝপথে দেখা যায় ছাত্রদের নেতৃতে নজিরবিহীন আন্দোলন। পুলিশ, আন্দোলনকারী এবং ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র সমর্থকদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে বিক্ষোভ চরম সহিংস রুপ নেয়। দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, সহিংসতায় ৮৭৩ জন নিহত এবং অন্তত ২১,০০০ আহত হন।
গণআন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট পাঁচ মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা-রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার পতন হয়, যা দেশের রাজনৈতিক ভিত কাঁপিয়ে তোলে। অনেকেই হাসিনার ১৫-বছর দীর্ঘ কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসানকে সংস্কার এবং নব্যায়নের একটি সুযোগ হিসেবে স্বাগত জানান।
বছরের শুরুতে ৭ জানুয়ারি বাংলদেশ যখন বিরোধী দলের ভোট বর্জনের মুখে নির্বাচন আয়োজন করে, তখন হয়তো কেউ টের পায়নি ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে কী মাপের একটি রাজনৈতিক ভুমিকম্প হতে যাচ্ছে।
হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে অতীতে প্রতিবাদ এবং সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে। বিশেষ করে, ২০১৩-১৪ সালে বিরোধী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জামাতে ইসলামির সহিংস আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পরেছিল।
কিন্তু ২০২৪ সালে দেখা গেল আন্দোলনের একটি নতুন রূপ।
জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নতুন করে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের লক্ষ্য ছিল সরকারী চাকুরিতে কোটা প্রথা বাতিল করা, কারণ তারা এই ব্যবস্থাকে “বৈষম্যমূলক” বলে গণ্য করে। সরকার ২০১৮ সালে কোটা প্রথা বাতিল করলেও হাই কোর্ট ২০২১ সালে দায়ের করা একটি রিটের প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৫ জুন কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা আইনগত পদক্ষেপকে আদালতের মাধ্যমে কোটা ফিরিয়ে আনার চক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করে এবং বাতিলের দাবীতে রাস্তায় নেমে পড়ে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আন্দোলন ক্যাম্পাসের বাইরে দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আন্দোলন দমন করতে হাসিনার নজিরবিহীন এবং নৃশংস শক্তি প্রয়োগ জনগণের একটি বড় অংশকে তাঁর বিরুদ্ধে নিয়ে যায়। ওয়াশিংটন-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইন্সটিটিউট-এর পরিচালক মাইকেল কুগেলমান বলেন, অর্থনৈতিক বিষয়গুলোও জনমত হাসিনার বিপক্ষে যাওয়ার পেছনো কাজ করেছে।
“হাসিনা দীর্ঘদিন ধরে কঠোর শাসক হিসেবে পরিচিত, কিন্তু তাঁর তত্ত্বাবধায়নে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতিতে মন্দা শুরু হওয়ায় মানুষ চাপের মধ্যে পড়ে, যার ফলে তাদের পক্ষে হাসিনার কঠোর শাসন মেনে নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে,” কুগেলমান ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এমন সময়ে আসে যখন হাসিনার অধীনে এক দশক ধরে প্রবৃদ্ধির পর অর্থনীতিতে স্থবিরতা দেখা দেয়। বাংলাদেশের মানুষের বাৎসরিক মাথা-পিছু আয় ২০১২-১৩ সালে প্রথমবার ১,০০০ ইউএস ডলার অতিক্রম করে। কিন্তু কোভিড মহামারি এবং ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর জ্বালানী বাজারে অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের আমদানি-নির্ভর অর্থনীতি বিপদের মুখে পড়ে।
একদিকে, মধ্যে এবং নিম্ন আয়ের মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিতে প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়ে। অন্যদিকে, লাগামহীন দুর্নীতির খবর, বিশেষ করে ব্যাংক থেকে ক্ষমতাসীন দলের সাথে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীরা অর্থ পাচার করছে, এমন তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হতে থাকে।
বাংলাদেশে প্রাক্তন ছাত্রনেতা মুশতাক হোসেনের মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিরোধী দলগুলোর উপর জনগণের কোন আস্থা ছিল না কারণ, “তারাও আগে ক্ষমতায় ছিল এবং সেসময় আমরা তাদের কর্তৃত্ববাদী আচরণ, দুর্নীতি, হত্যাকাণ্ড দেখেছি।” কিন্তু ছাত্ররা একটি বিকল্প নেতৃত্ব নিয়ে আসে।
“কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত না, এমন ছাত্রদের নেতৃত্বে আন্দোলন হবার ফলে জনগণ সেটায় অংশ নিয়েছে, তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে পেরেছে। বিভিন্ন মতের মানুষ, বামপন্থী, ডানপন্থী, মধ্যপন্থী, ইসলামপন্থী, সবাই রাস্তায় নেমে আসেন,” ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হোসেন বলেন, যিনি ১৯৮৯ -৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাক্সু’র সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
আন্দোলনের শুরুতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ এবং মোটামুটি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু জুলাই-এর মাঝা-মাঝি তা বদলে যায়, যখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লীগ আন্দোলনকারীদের পিটিয়ে দমন করার চেষ্টা করে। জুলাই-এর ১৬ তারিখে অন্তত ৬জন ছাত্র নিহত হয়।
কিন্তু মাঠ দখলের এই সহিংস প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং আন্দোলন ক্যাম্পাস থেকে দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ছাত্রদের দাবী কোটা বাতিল থেকে সড়ে গোটা সরকার বাতিলের দাবীতে পরিণত হয়।
সঙ্কট আরও ঘনীভূত হয় ১৮-১৯ তারিখে যখন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্র এবং ঢাকা মেট্রোরেলের দুটি স্টেশন সহ বিভিন্ন সরকারী স্থাপনায় হামলা, ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের গুলিবর্ষণ এবং বিক্ষোভকারীদের সাথে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়। সরকার-বিরোধী কোন আন্দোলন দমনের চেষ্টায় এই মাত্রার সহিংসতা এবং রক্তপাত স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে আগে কখনো দেখা যায়নি, যা শেখ হাসিনার পতন ত্বরান্বিত করে।
“শেখ হাসিনা বার বার চেষ্টা করেছেন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সহিংসতা দিয়ে দমন করতে এবং তিনি সেই পথ থেকে আর বের হয়ে আসতে পারেননি,” বলছেন মুশতাক হোসেন। “এর পর, হাসিনার পদত্যাগ করা ছাড়া সঙ্কট নিরসনের আর কোন পথ ছিল না।”
ভারতের জন্য ধাক্কা
ঢাকায় ৫ অগাস্ট হাজার হাজার মানুষ যখন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন লুট করে হাসিনার পতনে আনন্দ উল্লাস করছিল, তখন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিমান হাসিনা এবং তাঁর বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দিল্লির কাছে এক সামরিক বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে।
শেখ হাসিনার জন্য এই যাত্রা তাঁকে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে নিয়ে যায়। আরেক অগাস্ট মাসে, ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ঢাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদল অফিসার বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর হাসিনা দিল্লিতেই আশ্রয় পেয়েছিলেন। ভারতের রাজধানী থেকেই তিনি ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নেয়ার জন্য বাংলাদেশে ফেরত যান।
বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের প্রভাব দেশের সীমান্তের ওপারে বড় ধাক্কা দেয়। হাসিনার পতনের ফলে ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের সম্ভবত সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রকে হারায়।
“অগাস্ট ৫ ছিল বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্কে এক বিরাট ফাটল। এটা অবশ্যই গুরুতর একটা ধাক্কা,” বলেন শ্রীরাধা দত্ত, ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে ওপি গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক।
বাংলাদেশে ভারতের বিরুদ্ধে একটা বড় সমালোচনা ছিল যে, আওয়ামী লীগকে নিঃশর্ত ভাবে সমর্থন করে দিল্লি তার “সব ডিম এক ঝুরিতে ফেলেছে।” তবে দত্ত বলছেন, হাসিনার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার পেছনে নির্দিষ্ট কারণ ছিল।
তিনি বলছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত, যখন বিএনপি ও জামাতের জোট সরকার ক্ষমতায় ছিল, “বাংলাদেশ থেকে এবং বাংলদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বিদেশী শক্তির তরফ থেকে ভারত তার নিরাপত্তার প্রতি সম্ভবত সবচেয়ে গুরুতর হুমকির মুখে পড়েছিল।”
দত্ত যে সময়ের কথা বলছেন, তখন বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চলছিল। বাংলাদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর কয়েকটি, বিশেষ করে আসাম এবং নাগাল্যান্ডের সশস্ত্র গ্রুপগুলোর ঘাঁটি ছিল বলেন ধারণা করা হতো। গোষ্ঠীগুলোর শীর্ষ নেতারাও বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছিলেন।
হাসিনা ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসের বহুল-প্রশংসিত নির্বাচনে ব্যাপক জয়লাভের পর বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারতের প্রতি হুমকি নির্মূল করেন।
“তিনি যে প্রথম কাজটি করেছিলেন তা ছিল, বাংলাদেশের মাটি থেকে সকল সশস্ত্র গোষ্ঠীর ঘাঁটি উৎখাত করা,” শ্রীরাধা দত্ত ভিওএ-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন। “সশস্ত্র গ্রুপগুলোর যেসব নেতা বাংলাদেশে ছিলেন, তাদেরকে তিনি ভারতে ফেরত পাঠিয়ে দেন। এসব পদক্ষেপ তিনি নেন ভারতের সাথে কোন আনুষ্ঠানিক চুক্তি করার আগেই।”
ইউনূসের জন্য কোন 'শান্তি' নাই
ভারত সরকার এখন হাসিনাকে দিল্লিতে আশ্রয় দিয়েছে এবং তিনি সেখান থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভাষণ দিচ্ছেন। বিষয়টি ঢাকায় ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ করেছে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডঃ ইউনূস ভারতের মাটি থেকে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক তৎপরতাকে “অবন্ধুসুলভ আচরণ” বলে আখ্যায়িত করেন।
ইউনূস আরও বলেন, তিনি জুলাই-অগাস্টের হত্যাকাণ্ডের জন্য হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে চান। তিনি পিটিআই-কে বলেন যে, হাসিনাকে বিচারের জন্য ফিরিয়ে আনতেই হবে, “নাহলে বাংলাদেশের মানুষ শান্তি পাবেনা।”
দু’দেশের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে, তবে ঢাকা এখনো সেই চুক্তির অধীনে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
এরই মধ্যে হাসিনাকে ২২৯টি হত্যা মামলায় মূল আসামি করে দেশের বিভিন্ন আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রাক্তন মন্ত্রী আর সংসদ সদস্য সহ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধেও হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এমনকি প্রায় ১৪০জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধও হত্যা মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে, যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। “সাংবাদিকদের আটক করার ঘটনা এবং তাদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারী আইনগত প্রক্রিয়া এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে,” সাংবাদিকদের অধিকার সংক্রান্ত সংগঠন রিপোর্টার্স সোঁ ফ্রটিয়ের ১২ নভেম্বর এক বিবৃতিতে বলে।
হাসিনার পতনের পাঁচ মাস পর দেশের আকাশে অনিশ্চয়তার মেঘ জমে আছে। ইউনূস রাজনৈতিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে নতুন সাধারণ নির্বাচনের পথ খুঁজছেন। কিন্তু মাইকেল কুগেলমানের মত পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, অগাস্টের অভ্যুত্থান দেশে “গণতন্ত্র আর সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনবে না, যেটা অনেকেই আশা করছিলেন।”
“অতিতের একই সমস্যা – বিশেষ করে প্রতিশোধ নেয়ার রাজনীতি – আবার দেখা যাচ্ছে, এবং নতুন সরকারের কোন পরিকল্পনা আছে বলে মনে হচ্ছে না,” কুগেলমান বলেন। “নির্বাচন এবং বৃহত্তর পরিসরে রদবদলের কোন পরিষ্কার সময়সীমা না থাকায় জনগণ ক্রমশ অধৈর্য হয়ে উঠছে।”
অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা সার্ভিসের কমিশন করা জনমত জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চায়। তবে তারা নির্বাচনের আগে সংস্কার কর্মসূচীও সম্পন্ন দেখতে চায়।
কিন্তু একদিকে সংস্কারের কাজ ধীর গতিতে চলছে আর অন্যদিকে ইউনূসের তরফ থেকে নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে কোন পরিষ্কার ইঙ্গিত না আসায় অনিশ্চয়তা রয়েই যাচ্ছে।
সাবির মুস্তাফা : ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, ভয়েস অব আমেরিকা (বাংলা)