একাত্তর টিভির সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপা স্বামী-সন্তানসহ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আকুতি জানিয়েছেন। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামানের আদালতে মিরপুর থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে তিনি এই আকুতি জানান। ফারজানা রুপার স্বামী একাত্তর টিভির চাকরিচ্যুত সাংবাদিক সাকিল আহমেদ।

শুনানিকালে আদালতের কাছে কথা বলার অনুমতি চান ফারাজানা রুপা। বিচারক তাকে আইনের ভেতরে থেকে কথা বলার অনুমতি দেন।

অনুমতি পেয়ে রুপা কাঠগড়ার সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলেন, ‘আমার ছোট শিশু সন্তান আছে। আমি আর আমার স্বামী দুজনই কারাগারে ছয় মাস হয়ে গেছে। আমাকে জামিন দিন। আমরা স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরতে চাই।

শুনানি শেষে ফারজানা রুপা ও সাকিল আহমেদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন বিচারক।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় প্রিজন ভ্যানে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় ফারজানা রুপাকে। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় নারীদের সেলে রাখা হয় তাকে।

একইভাবে সকালে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে সাকিল আহমেদকে আদালতে হাজির করা হয়। হাজতখানার পুরুষ সেলে রাখা হয় তাকে। আলাদা সেলে রাখায় দেখা হয় না এই সাংবাদিক দম্পতির।

এজলাসে ঢুকে কাঠগড়ায় ওঠার পরেই রুপা তার স্বামী সাকিল আহমেদকে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু দেখা না মেলায় উদ্বিগ্ন দেখা যায় তাকে। কয়েক মিনিট পর সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননের সঙ্গে হাজতখানা থেকে সাংবাদিক শাকিলকে এজলাসে তোলা হয়। শাকিল কাঠগড়ায় উঠতেই আপ্লুত হন রুপা। তারা নিজেদের ভেতর আলাপ করতে থাকেন। কখনও কানে কানে, কখনও হাসিমুখে গল্প করতে থাকেন তারা। কাঠগড়ায় যতক্ষণ সময় ছিলেন নিজেদের ভেতর কথা বলতে থাকেন।