Logo
Logo
×

জাতীয়

পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন

Icon

ইউএনবি

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৩২

পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন

পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন হয়েছে। নতুনভাবে পুলিশের জন্য লৌহ রংয়ের পোশাক, র‌্যাবের জন্য সবুজ জলপাই ও আনসারের জন্য সোনালী গম রংয়ের পোশাক নির্বাচন করা হয়েছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাশেষে এসব সিদ্ধান্ত জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী৷

তিনি বলেন, আমরা পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারদের জন্য তিনটি পোশাক নির্ধারণ করেছি। এসব পোশাক পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করা হবে। যেসব পোশাক রয়েছে সেসব আস্তে আস্তে বদলে ফেলা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পোশাক পরিবর্তনে বড় ধরণের অর্থ সংকুলানের সমস্যা হবে না।

এছাড়াও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্য সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস কেনা হচ্ছে বলে জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, ‘সীমান্তে সবসময় প্রাণঘাতী অস্ত্রই দেওয়া ছিল। অনেকে প্রশ্ন করেছেন, বিজিবি কেন সাউন্ড গ্রেনেড মারেনি, কেন কাঁদানে গ্যাস মারেনি? কিন্তু এগুলো তো বিজিবির কাছে নেই। তাদের কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্র, যেটা তারা ব্যবহার করতে পারেনি।’

গেল ১৮ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তখন  ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু বিজিবি এগুলো ব্যবহার করেনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবির কাছে এগুলো নেই, তাহলে তারা কীভাবে এগুলো ব্যবহার করবে?’

‘এখন আমরা তাদের অনুমতি দিয়ে দিয়েছি, তাদের জন্য এসব জিনিস ক্রয় করা হবে। প্রাণঘাতী অস্ত্র তাদের কাছে আছে। কিন্তু সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার সেলের মতো যেসব জিনিস, তাদের কাছে নেই, সেগুলো তাদের জন্য ক্রয় করা হবে। এসব কেনার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিএসএফের কাছে এগুলো আছে, কিন্তু বিজিবির কাছে নেই,’ যোগ করেন উপদেষ্টা।

সীমান্ত এখন স্থিতিশীল অবস্থায় জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সেখানে বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই।

বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাস করা বিদেশিদের নিয়ে তিনি বলেন, ‘এরআগে একটি সার্কুলার দিয়েছিলাম যে আমাদের দেশে অনেকেই অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ৪৯ হাজার ২২৬ বিদেশি বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। এখন সেটা কমে আসছে ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন। আগামী ৩১ জানুয়ারি তাদের সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘এরমধ্যে এসব বিদেশির মাধ্যমে ১০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা আমরা রাজস্ব আয় করেছি। বিদেশিদের কাজ দিতে হলে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু যদি তারা সেটা না নিয়ে থাকেন, তাহলে যেই সংস্থা তাদের চাকরি দেবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Logo

অনুসরণ করুন