সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতি
চাপ দিয়েছেন হাসনাত, স্বীকার করলেন সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:২০
ছবি: সংগৃহীত
বেসরকারি সময় টেলিভিশন থেকে পাঁচ সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ চাপ দিয়েছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সময় টিভির পরিচালক মো. হাসান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সময় টেলিভিশনে কর্মরত পাঁচ সংবাদকর্মীর একসঙ্গে চাকরি যাওয়ার ঘটনায় হাসনাত আব্দুল্লাহর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ সামনে আসে।
গত মঙ্গলবার ফ্রান্সভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এজেন্স ফ্রান্স প্রেসে-এএফপি এ নিয়ে খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে।
চাকরিচ্যুত পাঁচজন টেলিভিশন চ্যানেলটির বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে ছিলেন। তাদের অভিযোগ, গত ১৮ই ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ কয়েকজনকে নিয়ে সময় টিভির বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে দেখা করেন এবং টিভি স্টেশনের ১০ জনের নামের একটি তালিকা দিয়ে তাদের চাকরিচ্যুত করতে চাপ দেন।
পরবর্তী সময়ে, সেই তালিকার পাঁচজনকে ডেকে পদত্যাগ করতে বলার পর তারা তাতে অস্বীকৃতি জানালে একই দিন হোয়াটসঅ্যাপে তাদের অব্যাহতিপত্র পাঠানো হয়।
এই ব্যাপারে সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সময় টিভির পরিচালক মো. হাসান বলেন, ‘১৭ বা ১৮ই ডিসেম্বর বিকেলের দিকে সমন্বয়ক পরিচয়ে কয়েকজন আমার সঙ্গে দেখা করতে চান। আমি একটি মিটিংয়ে থাকায় অপেক্ষা করতে বললেও, তারা তাদের আর্জেন্সির কথা জানান।’
দেখা করার পর তারা মৌখিকভাবে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে জানান যে তারা পাঁচই অগাস্টের আগে যেমন রিপোর্টিং করছিলেন, এখনও তেমনটাই করছেন।
তিনি বলেন, ‘ওনারা বলেন যে এদেরকে এখানে রাখা যাবে না, এই ধরনের কথাবার্তা বলে’ চাপ দেন।
তবে সমন্বয়করা সময় টিভির শেয়ার চেয়েছেন বলে যে অভিযোগগুলো উঠছে তা সত্য নয় বলেও জানান তিনি।
এদিকে চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের অভিযোগটি ‘সত্য’ বলে জানিয়েছেন সময় মিডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোরশেদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সিটি গ্রুপের এমডিকে তারা ভয়টা দেখিয়েছে। ওখান থেকে আমাদের চাপ দেওয়া হয়েছে যে একটা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য, যে কারণে আমরা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছি। স্বেচ্ছায় আমরা এটা করি নাই।’
তবে নানা দিক থেকে প্রতিবাদ আসার পর চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের আবারও ‘নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে’ উল্লেখ করে সমস্যা সমাধান করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তবে সিটি গ্রুপে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও সেখানে গিয়ে ভয় দেখানো বা তালিকা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
