বাংলাদেশের অতিথিদের ঠেকাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কবীর সুমন ‘লজ্জিত’
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:২৮
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অতিথিদের সশরীরে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষী সভাগৃহের ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চার বিশিষ্ট ব্যক্তির গবেষণাপত্র পাঠ করার কথা ছিল।
বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে আয়োজকদের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে চারজন কলকাতায় যান। ২০ থেকে ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠানটি চলবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অতিথিদের সশরীরে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। শুক্রবার এক অডিও বার্তায় ভারত ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই শিল্পী বলেন, “আমার লজ্জা করছে। ধিক্কার জানাচ্ছি। যেসব ছাত্র এটা করেছেন, তারা অন্যায় করেছেন।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘এইসময়’ জানিয়েছে, চারজন অতিথি ঢাকা থেকে কলকাতায় পৌঁছেছেন। যথাযথ ভিসা, পাসপোর্ট নিয়েই এসেছেন তারা। অনুষ্ঠানে নানা বিষয়ে নিজেদের গবেষণাপত্র পাঠ করার কথা ছিল তাদের।
খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের অতিথিদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরও দাবি, তারা নিজস্ব সূত্রে খবর পেয়েছেন যে, ক্যাম্পাসে অশান্তির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
কবীর সুমন তার অডিও বার্তাটি প্রকাশ পায় শান্তিসেতু নামের একটি সংবাদমাধ্যমে। সেখানে তিনি বলেন, বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদের শতবর্ষ উপলক্ষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল শুক্রবার থেকে ২২ ডিসেম্বর। আলোচনা, সেমিনার আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা থেকে ডেলিগেটরা এসেছেন। বোধ হয় সন্ধ্যাবেলা একদল ছাত্র উপাচার্যের কাছে গিয়ে আপত্তি জানান। ক্যাম্পাসে বাংলাদেশিদের অ্যালাউ করা হবে না বলে জানায় তারা। তাদের একজনের নাম রনি ঘোষ।
'রনি ঘোষ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভয় পেয়ে যান। ক্যাম্পাসে গোলমাল বিক্ষোভের ভয়। বাংলাদেশি ডেলিগেটদের বাদ দিয়ে অনুষ্ঠান হবে। যারা চলে এসেছেন তাদের হোটেল থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিতে বলা হয়েছে।'
কবীর সুমন বলেন, আমি ধিক্কার জানাচ্ছি। আমার বয়স ৭৬ চলছে। আমি এদেশের, ভারতের একজন আয়কর দাতা। আমার লজ্জা করছে এ খবরটা জেনে এবং সে সঙ্গে ভয় করছে। বাংলাদেশ ভারতের বন্ধু রাষ্ট্র এবং প্রতিবেশী; প্রত্যক্ষ প্রতিবেশী। শ্রীলঙ্কা যেমন, বাংলাদেশ তেমনি প্রত্যক্ষ প্রতিবেশী। আমাদের অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে। আমাদের অভিন্ন ভাষা, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের গান।