Logo
Logo
×

জাতীয়

আন্দোলনের ৫ শিক্ষার্থীকে হত্যা

ড. ইউনূসের বাসভবনের সামনে অনশনের হুশিয়ারি

Icon

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:১৮

ড. ইউনূসের বাসভবনের সামনে অনশনের হুশিয়ারি

জুলাইয়েল আন্দোলন ও অভ্যুত্থানে সক্রিয় পাঁচ শিক্ষার্থীকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। এর মধ্যে গ্রেপ্তার না করলে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বাসভবনের সামনে অনশন করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার দুপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী এ ঘোষণা দেন।

গত ১২ ডিসেম্বর ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া দুর্বৃত্তের চুরিকাঘাতে জখম হয়ে ১৪ ডিসেম্বর মারা যান আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্ত। ১৮ ডিসেম্বর পূর্বাচলের লেক থেকে উদ্ধার করা হয় শিক্ষার্থী সুজানা আক্তার (১৭) ও সাইনুর রশিদ কাব্যের (১৬) লাশ। একইদিন চট্টগ্রাম থেকে জসিম উদ্দিন নামে আন্দোলনে যুক্ত আরেক শিক্ষার্থী হত্যার শিকার হন। 

ইনকিলাব মঞ্চের শরীফ ওসমান বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছাত্রজনতাকে হত্যা করা হচ্ছে, আগামী শনিবারে মধ্যে যদি তাদের গ্রেপ্তার করে বিচার করা না হয়, তাহলে ইনকিলাব মঞ্চ আগামী রোববার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে গিয়ে অনশন করবে।

এ সময় তিনি আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করা এবং দলটির উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতৃত্বকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করেন শরীফ ওসমান। তিনি বলেন, 'গতকাল কৃষকদলের সাথে সংশ্লিষ্ট জসিমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার চাচা বলেছে, আওয়ামীলীগের দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে। অথচ প্রথম আলো নিউজ করেছে, খাবারের উচ্ছিষ্টের ব্যবসা নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। একটা গণমাধ্যম মিসলিডিং করলে সেটা কীভাবে অন্যরা কপি করে দেখুন। আমরা দেখেছি, শহীদ ফাহমিনের ক্ষেত্রে একটি মূলধারার গণমাধ্যম সংবাদ করেছে তাকে এটিএম থেকে টাকা তুলতে গেলে গুলি করে হত্যা করা হয়, অন্যরা তা কপি করেছে। এভাবে বিপ্লবীদের চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।'

তিনি বলেন, আমরা আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করতে বললাম। তা না করে এখন প্রত্যেক রাজনৈতিক দল ভোটের রাজনীতিতে ফিরে গেল এবং আওয়ামীলীগকে পুনর্বাসন করল। প্রত্যেকে আওয়ামীলীগের ব্যবসা-বাণিজ্যে ভাগ বসাল। বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ যে যার ইচ্ছেমতো আওয়ামীলীগের পুনর্বাসন করছে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরাপত্তা ও বিচার নিশ্চিত করতে না পারলে নেমে যাওয়ার কথা বলেন ইনকিলাব মঞ্চের এই মুখপাত্র। 

তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সক্রিয় ছাত্রজনতার নিরাপত্তা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। ছাত্রজনতাকে অনিরাপদ করে সরকারকে নিরাপদ রাখার দায় আমাদের নাই। যদি পারেন তাহলে নিরাপত্তা দেন, নইলে নির্বাচন দিয়ে সরে যান। আপনাদের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার জন্য পাঠানো হয়নি। আপনাদেরকে ক্ষমতায় পাঠানো হয়েছে বিচারের জন্য।

ছাত্র-উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা অনেক কাজ করতে চেয়েও করতে পারছেন না। সে দায় আপনাদের উপর নিচ্ছেন কেন? আপনারা কোনো কাজ না পারলে সংবাদ সম্মেলন করেন। কোন কোন উপদেষ্টা, আমলা আপনাদের বাধা দিচ্ছে, তা জাতির সামনে প্রকাশ করুন।


Logo

অনুসরণ করুন