গুমের সঙ্গে জড়িতের অভিযোগ
২০ সেনা-পুলিশ কর্মকর্তার পাসপোর্ট স্থগিত, দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:১০
ফাইল ছবি
গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ২০ কর্মকর্তার পাসপোর্ট স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ বহির্গমন-১ এর উপসচিব মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আদেশে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা ২০ কর্মকর্তা হলেন- র্যাবের সাবেক ডিজি মোখলেছুর রহমান, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক এডিজি জিয়াউল আহসান (বর্তমানে গ্রেপ্তার) ও কর্নেল তোফায়েল মোস্তুফা সারোয়ার, র্যাব-৭ এর সাবেক সিও লে. কর্নেল মেফতা উদ্দিন আহমেদ, র্যাবের সাবেক সিও অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার লুৎফুল কবির (র্যাব-৪) ও শাহাবুদ্দিন খান (র্যাব-১০), র্যাবের সাবেক পরিচালক লে. কর্নেল মাহাবুব আলম, র্যাব-১১-এর সাবেক সিও লে. কর্নেল কামরুল হাসান, র্যাব-১-এর সাবেক সিও লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সিটিটিসির প্রধান পলাতক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম ও ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান, ডিবির সাবেক ডিসি মশিউর রহমান, সিটিটিসির সাবেক এডিসি তৌহিদুল ইসলাম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু তাহের মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহাবুবুর রহমান সিদ্দিক।
চিঠিতে আরও বলা হয়, চিঠিতে বলা হয়, গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির অনুরোধ অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ২০ জন সরকারি কর্মকর্তার গুম সংক্রান্ত ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ পাওয়া যায় এবং তদন্তের প্রয়োজনে ওই ২০ জন যেন দেশত্যাগ করতে না পারে সে লক্ষ্যে তাদের পাসপোর্ট স্থগিতপূর্বক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সাবেক ২২ সেনা ও দুই পুলিশ কর্মকর্তার পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।