জামায়াতের সমাবেশে বিশেষ ট্রেন দেওয়ার ব্যাপারে কি বলছে রেলওয়ে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৫, ২১:২০

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ উপলক্ষ্যে ভাড়ায় বিশেষ ট্রেন পরিচালনা একটি বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত এবং এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) রেল মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শনিবার ঢাকায় জামায়াতের সমাবেশ উপলক্ষ্যে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার খবর নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে রেলওয়ে।
মন্ত্রণালয় বলছে, রাজনৈতিক দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ের বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতির নজির না জেনেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চলছে।
রেলওয়ের বক্তব্য, এতে ট্রেন পরিচালনার স্বাভাবিক নিয়মের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। আগেও বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি উপলক্ষে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করেছে। নির্দিষ্ট ভাড়া আদায় সাপেক্ষে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা রেলওয়ের একটি নৈমিত্তিক কাজ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব ক্ষেত্রে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা না করলে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী নিয়মিত ট্রেনে টিকিটবিহীন যাত্রী নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন ও দুরূহ হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে যাওয়ার জন্য টিকিট করার পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ পান না এবং বিনা টিকিটে ভ্রমণের প্রবণতা বেড়ে যায়।
অন্যদিকে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করলে নির্দিষ্ট ভাড়া পরিশোধ সাপেক্ষে দলের নেতাকর্মীরা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারেন। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ে একদিকে যেমন রাজস্ব আয় করতে পারে, তেমনি অন্যান্য ট্রেনের সাধারণ যাত্রীরা বাড়তি ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পায়।
রেলওয়ে আরও বলছে, চার জোড়া বিশেষ ট্রেন সাপ্তাহিক অফ-ডে থাকা নির্ধারিত রেক দ্বারা পরিচালনা করা হবে। এছাড়া শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রীদের স্বাভাবিক চাহিদা সাধারণত কম থাকে। ফলে এসব ট্রেন পরিচালনার জন্য নিয়মিত চলাচলকারী কোনো ট্রেনের যাত্রা বিঘ্নিত হবে না। অর্থাৎ এসব রুটে নিয়মিত চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীদের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ উপলক্ষে দলটি প্রায় ৩২ লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করে ট্রেন ভাড়া নিয়েছে বলেও জানিয়েছে রেলওয়ে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এটি বাংলাদেশ রেলওয়ের বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত, এর সঙ্গে দলীয় রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নাই। আগের প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও যেকোনো রাজনৈতিক দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুরূপ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।