শত পণ্যে বাড়তি শুল্ক ও কর বসানোয় যে প্রভাব পড়বে জীবনে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৪২
দেশে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। জনজীবন তার ব্যাপক চাপ। এর মধ্যেই হোটেল-রেস্তোরাঁ, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ওষুধ, কোমল পানীয়, সিগারেটসহ শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়াল সরকার। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত দুটি নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে।
অর্থ বছরের মাঝামাঝি সময়ে এত বেশি পণ্যেল নতুন শুল্ক ও কর আরোপের ঘটনা নজিরবিহীন। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে
রেস্তোরাঁয় আগে ১০০০ টাকা খেলে আগে ৫০ টাকা ভ্যাট দিতে হতো। বিল আসত ১০৫০ টাকা। নতুন ভ্যাট আরোপের পর এখন ৩৩০ টাকা খেলেই ভ্যাট দিতে হবে ৫০ টাকা। অর্থাৎ ভ্যাট বাড়লো প্রায় ৩০০ শতাংশ বা তিনগুণ।
মোবাইলে ৩ শতাংশ ভ্যাট বাড়তি যোগ হয়েছে। ফলে মিলিয়ে ১০০ টাকা রিচার্জে গ্রাহকের ব্যবহার করতে পারবে ৪৩ টাকা ৭০ পয়সা। আর ইন্টারনেটের দামে ১০ শতাংশ কর যোগ হয়েছে। আগে কোনও সারচার্জ ছিল না।
রোগীর পথ্য ফল কমলা, আঙুর, আপেল, ডালিম, নাশপাতি, ফলের রসের সারচার্জ কর ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩০ শতাংশ হয়েছে। ১৫ শতাংশ বেড়ে ৪৫ শতাংশ হয়েছে বাদামে।
চশমার ফ্রেম, চশমার গ্লাস, সান গ্লাস, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, বৈদ্যুতিক খুঁটি, সিগারেট, রং, পটেটো ফ্ল্যাকস এ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
আগে পোশাকের দোকানে যে মূল্য লেখা থাকত তা থেকে ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়তি দিতে হত। এখন দিতে হবে ১৫ শতাংশ। আসছে ঈদে ৩ হাজার টাকার পাঞ্জাবি নিলে তাতে ভ্যাট যোগ হয়ে মোট বিল হবে ৩৪৫০ টাকা। দর্জির দোকানে কাপড় বানালে তাতেও ভ্যাট ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
মিষ্টির দোকানের ভ্যাটও সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে মিষ্টির দামও বাড়বে। উৎসবে এক কেজি মিষ্টি কিনতেও ভাবতে হবে।
বিস্কুট, জুস, ড্রিংক, ইলেকট্রোলাইট ড্রিংক, কেক , আচার, সস এসব পণ্যভেদে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে। সব ধরনের টিস্যুর ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। আগে ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। ভ্যাট বেড়ে দ্বিগুণ হওয়ার ফলে টিস্যুর দামও বাড়বে। ওষুধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। ২.৪ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ করা হয়েছে।
রোজায় ফলমূল খাওয়াও কঠিন হলো। অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ভ্যাট বাসানোয় ফলের দামও বাড়বে।