কক্সবাজারে সৈকত সংলগ্ন এলাকায় খুলনার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম রব্বানী টিপুকে হত্যার ঘটনায়  একজনকে আটক করেছে র্যানব-১৫। তার নাম শেখ হাসান ইফতেখার ওরফে চালু। তিনি খুলনার ১৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

র্যা ব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, ইফতেখারকে কক্সবাজার শহরের কলাতলী সড়কের হোটেল গোল্ডেন হিল থেকে রাত ১২টার পর আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহত টিপু বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে ইফতেখারসহ কক্সবাজারে আসেন।

হোটেল গোল্ডেন হিলের ‘অতিথি লিপিবদ্ধ বই’ এ দেখা গেছে আটক ইফতেখার, নিহত গোলাম রব্বানী টিপুর সাথে রুমি (২৭) নামের এক নারীও সকাল ৭টায় হোটেলে ওঠেন। ওই নারী পলাতক বলে জানান র্যা ব-১৫ এর অধিনায়ক সাজ্জাদ হোসেন।

হোটেলটির অভ্যর্থনা কক্ষের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে ওই নারীসহ নিহত কাউন্সিলর টিপু হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। এরপর রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সৈকত সংলগ্ন হোটেল সী-গাল এলাকায় গুলিতে নিহত হন টিপু।

হোটেল গোল্ডেন হিলের ম্যানেজার মোহাম্মদ শফিক বলেন, 'বৃহস্পতিবার সকালে গোলাম রব্বানী টিপুসহ তিনজন মিলে হোটেল আসেন। পরে তিনি হোটেলটির দুই কক্ষ বিশিষ্ট ৭০০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে উঠেন। ফ্ল্যাটটির একটি কক্ষে গোলাম রব্বানী এবং অপর কক্ষে দুজন অবস্থান করছিলেন। সন্ধ্যার পর গোলাম রব্বানী টিপু হোটেল থেকে বের হয়ে আর ফিরেননি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইজিবাইক চালক আব্দুস সালাম বাবু জানান, ঘটনার সময় তিনি গাড়ি নিয়ে হোটেল সীগালের সামনে তক্তা ব্রিজের পাশে অবস্থান করছিলেন। গুলির শব্দ শুনে তিনি ঘটনাস্থলে এক ব্যক্তিকে পড়ে যেতে দেখেন। এ সময় ২/৩ জন লোককে অন্ধকারে ঝাউবনের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যেতে দেখেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন বলেন, রাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন হোটেল সীগাল এলাকা দিয়ে গোলাম রব্বানী টিপু হাঁটছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে কাছ থেকে মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।