কিশোরগঞ্জের হাওরের আলোচিত 'অল-ওয়েদার সড়ক' ঘুরে দেখলেন অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। শনিবার দুপুরে তিনি ইটনায় হাওর এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে তিনি উপজেলা হল রুমে জেলার সরকারি কর্মকর্তা ও সুধীজনদের সঙ্গে এক মতবিনিময় করেন। শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সড়কটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছিল। যেহেতু সড়কটা হয়ে গেছে, তাই এর ভালোমন্দ নিয়ে আলোচনা করা হবে না। এ সড়কের ফলে যেসব সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো আমরা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করব।
উপদেষ্টা জানান, ৩০ কিলোমিটার অল ওয়েদার সড়ক ভাঙা হবে না । বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনে হাওরের নদীগুলো ড্রেজিং করা হবে।
এর আগে সকালে তিনি কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট সড়ক যথাযথমানে উন্নীতকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেখান থেকে জেলার শতভাগ হাওর অধ্যুষিত উপজেলা ইটনায় যান।
শুক্রবার রাতে রেলগাড়িতে কিশোরগঞ্জ রেল ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন উপদেষ্টা। আজ বিকেলে রেলগাড়িতেই কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা যাবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাকে যুক্ত করে হাওরের মাঝখান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্রায় ৩০ কিলোমিটার অল-ওয়েদার সড়ক। গত ২৩ নভেম্বর সিলেটে আয়োজিত এক কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছিলেন, সিলেটের নদ–নদীর অবাধ পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে ও বিভাগটিকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে ইটনা–মিঠামইন–অষ্টগ্রাম সড়কের (কিশোরগঞ্জের অল ওয়েদার সড়ক) বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হতে পারে। এ জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।