'কালের কণ্ঠ'-এ প্রচারিত বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। দৈনিক কালের কণ্ঠের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রচারিত বার্তায় তিনি বলেছিলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানকালীন কালের কণ্ঠ থেকে অনেক সময়োপযোগী সংবাদ পেয়েছিলাম। যার জন্য কালের কণ্ঠকে ধন্যবাদ।’ এর পর সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) গভীর রাতে তার ফেসবুক পোস্টে তিনি দুঃখপ্রকাশ করেন।

উমামা ফাতেমা দাবি করেন, 'কালের কণ্ঠের অভ্যুত্থানকালীন ভূমিকা নিয়ে আমি অবগত ছিলাম না। কয়েকদিন আগে আমি টিএসসিতে ছিলাম বিকালবেলা। তখন কালের কণ্ঠের সাংবাদিক আমার কাছে এসে তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাতে অনুরোধ করে। আমি তখন 'প্রথম আলো' বিষয়ে তাদের সেনসেশনাল অপসাংবাদিকতা নিয়ে আপত্তি জানাই। তারপরও যেহেতু বারবার অনুরোধ করছিল আর ক্যামেরা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল তাই তাদের অনুরোধে রাজি হই এবং ভিডিও বার্তায় সুষ্ঠু সাংবাদিকতা করার পরামর্শ দিই। তখন তারা আমাকে মোবাইলে ইউটিউব স্ক্রল করে বলে অভ্যুত্থানের সময় ও পরে তারা পজিটিভ রিপোর্ট করেছে। পরবর্তীতে আমি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অভিনন্দন জানিয়ে ও সাংবাদিকতায় প্রফেশনালিজম রক্ষার কথায় জোর দিয়ে কথা শেষ করি। আমাকে পরবর্তীতে তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কার্ড দিয়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করে। তখন আমি মানা করে দিই।' 

তিনি বলেন, 'আজকে দেখলাম আমার বক্তব্যের ছোট একটা অংশ থেকে তারা ক্লিকবেইট তৈরি করেছে। অথচ আমার মূল বার্তাই ছিল যাতে তারা সাংবাদিকতায় প্রফেশনালিজম রক্ষা করে। আজকে অভ্যুত্থানকালীন কালের কণ্ঠের ভূমিকা জেনে অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ঠিকই সেনসেশনাল নিউজ করে তাদের এতদিনকার ভূমিকাকে আড়াল করতে চাইছে। কালের কণ্ঠে আমার 

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে দেখলাম আমার বক্তব্যের ছোট একটা অংশ থেকে তারা ক্লিকবেইট তৈরি করেছে। অথচ আমার মূল বার্তাই ছিল যাতে তারা সাংবাদিকতায় প্রফেশনালিজম রক্ষা করে। আজকে অভ্যুত্থানকালীন সময়ে কালের কণ্ঠের ভূমিকা জেনে অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ঠিকই সেনসেশনাল নিউজ করে তাদের এতদিনকার ভূমিকাকে আড়াল করতে চাইছে। কালের কণ্ঠে আমার প্রচারিত বক্তব্যের জন্য অত্যন্ত দুঃখিত।’