Logo
Logo
×

রাজধানী

বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত

প্রাইভেটকারটির নিবন্ধন সাবেক সেনা কর্মকর্তার নামে, বিয়ার-মদ উদ্ধার

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:২৮

প্রাইভেটকারটির নিবন্ধন সাবেক সেনা কর্মকর্তার নামে, বিয়ার-মদ উদ্ধার


রূপগঞ্জের ৩০০ ফিট সড়কে পুলিশ চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বুয়েট শিক্ষার্থীদের চাপা দেওয়া প্রাইভেটকারটির নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল মামুনের নামে। প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন তার ছেলে মুবিন আল মামুন সাদমান।

গাড়িচাপার ঘটনায় বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহতাসিম মাসুদ নিহত এবং অমিত সাহা ও মেহেদী হাসান গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহত মোহতাসিম মাসুদ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার মাসুদ মিয়ার ছেলে। আহত অমিত ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার তপন কুমার সাহার ছেলে এবং মেহেদী কুমিল্লা সদরের মফিজুর রহমান খানের ছেলে। 

এ ঘটনায় মুবিন আল মামুন ও তার দুই বন্ধু মো. মিরাজুল করিম ও আসিফ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর প্রাইভেটকারটি তল্লাশি করে এক ক্যান বিয়ার ও একটি খালি মদের বোতল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ৮টার দিকে বাসা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন মাসুদ। পরে তিন বন্ধু মিলে ৩০০ ফুট সড়কে ঘুরতে বের হন। সেখানে নীলা মার্কেটে তারা রাতের খাবার খান। পরে বাসায় ফেরার সময় নীলা মার্কেটের অদূরে একটি পুলিশ চেকপোস্টে তাদের থামানো হয়। ভোররাত আনুমানিক ৩টার দিকে পুলিশ চেকপোস্টে দাঁড়ানো অবস্থায় বেপরোয়া গতির একটি প্রাইভেটকার সেই চেকপোস্ট অতিক্রম করে মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাসুদ মারা যান।

নারায়ণগঞ্জ জেলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মেহেদী ইসলাম জানন,  এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের ডোপ টেস্টের জন্য পাঠানো হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার সকালে রূপগঞ্জ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার দাবি করেন।

Logo

অনুসরণ করুন