যুক্তরাষ্ট্র ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রদ্রোহী ঘোষণা দিয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা

রিউমর স্ক্যানার
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৩৬
-67acc0193d9f0.jpg)
সম্প্রতি, ‘আলহামদুলিল্লাহ ড ইউনূসকে রাষ্ট্রদ্রোহী ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে অবমাননা করায় নিষেধাজ্ঞা।’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রদ্রোহী ঘোষণা দেওয়া এবং শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে অবমাননার দায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার দাবিগুলো মিথ্যা বরং, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ভিন্ন কয়েকটি ভিডিও একসাথে যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। প্রথম দুইটি ক্লিপে সংবাদ পাঠিকাদের সংবাদ পাঠ করতে দেখা যায়। রিভার্স ইমেজ সার্চ করে এটিএন বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে গত ০৩ ফেব্রুয়ারি এবং যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৬ জানুয়ারি প্রচারিত দুইটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনগুলোর কিছু অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওর প্রথম দুইটি ক্লিপের মিল রয়েছে।
এটিএন বাংলার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আলোচিত দাবিটি নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের করা একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে এটিএন বাংলা। সেই প্রতিবেদনের কিছু অংশ কেটে আলোচিত দাবিতে আবার প্রচার করা হচ্ছে।
এছাড়া যমুনা টিভির বুলেটিনের ৬ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে প্রচারিত ‘বাংলাদেশে বন্ধ হলো ইউএসএআইডি’র সহায়তা’ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনের কিছু অংশ কেটে আলোচিত ভিডিওটিতে যুক্ত করা হয়েছে।
অর্থাৎ, আলোচিত দাবির সাথে প্রচারিত ভিডিও প্রতিবেদনগুলো ভিন্ন প্রেক্ষিতে করা প্রতিবেদন।
পাশাপাশি, প্রচারিত ভিডিওটিতে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও বিএনপি নেতাফজলুর রহমান, গণ অধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর, গোলাম মাওলা রনি এবং সোহেল তাজের বক্তব্যের কিছু ক্লিপ দেখা যায়। তবে, বক্তব্যের উক্ত ক্লিপগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রদ্রোহী ঘোষণা দেওয়া এবং শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে অবমাননার দায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি।
এরপর যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ২০ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কি না-এ বিষয়ে সত্যতা জানতে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করেও এসংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রদ্রোহী ঘোষণা দেওয়া এবং শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে অবমাননার দায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার দাবিগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।