Logo
Logo
×

কূটনীতি

তুরস্ক থেকে ট্যাংক কেনায় বাংলাদেশের ওপর নজর রাখছে ভারত

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৩১

তুরস্ক থেকে ট্যাংক কেনায় বাংলাদেশের ওপর নজর রাখছে ভারত

তুরস্ক থেকে বাংলাদেশের যুদ্ধ ট্যাংক কেনার ইস্যুতে ভারত নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। গতকাল শুক্রবার ভারতের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও তাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়ছে বাংলাদেশের। ভারতের দাবি, বাংলাদেশে অত্যাচারিত হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়। তাছাড়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে নাখোশ ভারত। এসব ছাড়াও নানা ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন ভাটার দিকে।

এমন পরিস্থিতিতে তুরস্ক থেকে যুদ্ধ ট্যাংক কিনছে বাংলাদেশ। বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে। এসব নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল জানান, বাংলাদেশের ওপর নজর রাখছে ভারত। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তাজনিত সব বিষয়ের ওপরই আমাদের তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে। প্রয়োজনে আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব’।

এদিকে ইসকন নেতা (বহিষ্কৃত) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের ইস্যুতেও ঢাকাকে বার্তা পাঠিয়েছে দিল্লি। এ বিষয়ে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা যেন একটা ন্যায্য বিচার পান। এটাই আমাদের মূল প্রত্যাশা’।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমি কনফার্ম করেছিলাম যে, আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে বাংলাদেশের থেকে একটি বার্তা পেয়েছি। তারপর এ নিয়ে আমার আর কিছু যোগ করার নেই’।

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, শুধু একটা ‘ভার্বাল নোট’ দিয়েই দিল্লির কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছিল ঢাকা। তবে এই দাবির প্রেক্ষিতে সব আনুষ্ঠানিকতা নাকি সম্পন্ন করেনি বাংলাদেশ সরকার। 

হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ ধরনের প্রত্যর্পণের দাবির প্রেক্ষিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফরমালিটি থাকে। তবে বাংলাদেশ সরকার নাকি সেসব না করেই বলে যাচ্ছে- ‘হাসিনাকে দিল্লি ফেরত পাঠাবে না’। 

এসবের মাঝে ভারত বাংলাদেশের ‘নোট ভার্বাল’-এর জবাব নাও দিতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা নাকি এ বিষয়ে এমনটাই জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। 

Logo

অনুসরণ করুন